Tuesday, July 17, 2012

সারা বিশ্বে বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে যাবে ইন্টারনেট!

winlifeitdigital.blogspot.com
মুহম্মদ আলতাফ হোসেন: বিশ্ব এখন ইন্টারনেটের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল এ কথা বললে খুব বেশি বলা হবে না এবং যত দিন যাবে নির্ভরশীলতা তত বাড়বে; আর এ কারণেই  বিশ্বে এখন সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ইন্টারনেট ভক্ত এবং সব কাজেই ইন্টারনেটের প্রয়োজন।
সিসকো পরিচালিত গবেষণা ইনডেক্স অনুযায়ী আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে ইন্টারনেট  ট্রাফিক ১.৩ জেটাবাইটস ব্যান্ডউইথড ছাড়িয়ে যাবে। এ কারণ ভবিষ্যতে বহনযোগ্য পণ্য, স্মার্টফোন এবং ডিজিটাল পণ্যগুলোতে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত হবে। তখন ইন্টারনেট বিস্ফোরণের মতো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। ২০১৬ সাল নাগাদ আলাদাভাবে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ১ হাজার ৮৯০ কোটি সংযোগ ছাড়িয়ে যাবে। তখন প্রতিজনের জন্য গড়ে ২.৫টি ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। ২০১১ সালের হিসাবে এ সংখ্যা ১ হাজার ৩০ কোটি।
ইন্টারনেট কী : ইন্টারনেট (Internet, বাংলায় আন্তর্জাল) হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্যাটা আদান-প্রদান করা হয়। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সমার্থক শব্দ মনে হলেও তার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ইন্টারনেটের হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার পরিকাঠামো কম্পিউটারগুলোর মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। বিপরীতে ওয়েব ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত পরিসেবাগুলির একটি। এটা পরস্পর সংযুক্ত কাগজপত্র ও অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহের, হাইপারলিংক এবং ইউআরএল দিয়ে সংযুক্ত।
যাত্রা শুরু : ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট্স এজেন্সি বা আরপা পরীামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক আরপানেট নামে পরিচিত ছিল। এতে প্রাথমিকভাবে যুক্ত ছিল স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট লস অ্যাঞ্জেলেস, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট সান্তা বারবারা ও ইউনিভার্সিটি অফ ইউটাহ্।
রাজনৈতিক শক্তি : ইন্টারনেট এখন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিউনিসিয়া, মিসর  প্রভৃতি দেশে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রযুক্তির কারণেই বিপ্লব ঘটতে পেরেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও এখন নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে প্রফাইল ছবির বদলে কালো ‘জে’ ব্যবহার করে  প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন আর স্বৈরাচারেরা যেকোনো কাজ করে সহজে পার পেতে পারে না। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের নির্বিচারে বাংলাদেশী হত্যার বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ জানাতে হ্যাকারদের ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হ্যাক করাটাও ছিল একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ।
ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় : রাজধানীসহ সারা দেশে এখন ইন্টারনেটে টাকা আয়ের ধুম দেখা যাচ্ছে। ইন্টারনেটের সঙ্গে কিছুটা পরিচিত এমন ছাত্র-শিক্ষক, চাকরিজীবী, বেকার, গৃহিণী সবাই যেন এতে মেতে উঠেছেন, তাদের কাছে ক্লিক করলেই ডলার। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারসহ এমন প্রচারণা চলছে, যেন ডলার হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের মাউসে ক্লিক করলেই আপনার হাতে চলে আসবে রাশি রাশি। সত্যিই কি তাই? সত্যি। তবে সাধারণ মানুষ ক্লিক করে টাকা আয়ের যে শর্ট-কাট  পথের আশ্রয় নিচ্ছে, সেই পথ না মাড়ানোই ভালো, বিশেষ করে আপনার কষ্টের টাকা বিনিয়োগ করে। প্রাথমিক কিছু বিনিয়োগ করে বস্তা বস্তা ডলারের যে স্বপ্ন দেখা যায়, তার অনেকটাই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং ব্যবসা। আপনার ও আপনার পরিচিতদের টাকা আত্মসাতের ডিজিটাল কৌশল। এ ক্ষেত্রে একটি পরামর্শ দেয়া যায়Ñ সেসব প্রতিষ্ঠান আগাম কিছু বিনিয়োগ করতে বলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।
তবে হ্যাঁ, ইন্টারনেট থেকে টাকা কামানো যায় আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে। সেজন্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রগ্রাম শিখতে হবে। লেখালেখিসহ (সাধারণত বাংলায় নয়) নানা কাজ আছে। আপনি যেটা ভালো জানেন, তা দিয়ে আবেদন করতে পারেন।
হুমকিও বটে : ইন্টারনেটের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হলো এর ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা বখে যাচ্ছে। তারা শিক্ষামূলক কিছু না দেখে অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।
শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এমনটা হচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন বার্তা সংস্থা লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অধ্যাপক সোনিয়া লিভিংস্টোনের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বেরিয়ে এসেছে মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা সাধারণত তাদের সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশি বেশি উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। একপর্যায়ে ছেলেমেয়েরা অশ্লীল দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পর্নোর  প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে সামাজিক আচরণ বিলোপসহ নানা রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে তারা। জরিপে অংশ নেওয়া ১০০০ ছাত্রছাত্রীর ৫১ শতাংশ বাড়ির কাজ না করে, পরিবার পরিজন দূরে রেখে ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় কাটায়। বিশেষ করে ১৪ থেকে ১৬ বয়সের তরুণীদের এ প্রবণতা অনেক বেশি। বিশেষ করে যাদের শোয়ার ঘরে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে তারা হুমকির মুখে রয়েছে।
এতে আরো জানা যায়, ৩০ শতাংশ ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিপরীতে ২৫ শতাংশ মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান অশ্লীল ভিডিওতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পর্নো বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়েরা অন্যদের তুলনায় এগিয়ে। এ সংখ্যা ১৭:১৪। ৪০ শতাংশ বাবা-মা তাদের সন্তানরা ইন্টারনেটে কী করছে সে ব্যাপারে সচেতন। বিপরীতে ২৯ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের মা-বাবা এ ব্যাপারে অসচেতন। এটিকে গবেষক ভীতির সংস্কৃতি বলে আখ্যা দিয়েছেন। যে সংস্কৃতিতে পিতামাতা তার সন্তানকে বাইরে বের হতে না দিয়ে প্রযুক্তির প্রতি বেশি মুখাপেক্ষী করতে উদ্বুদ্ধ করছেন। তবে এখনও সমস্যাগুলো সর্বত্র দেখা না যাওয়ায় এ নিয়ে অভিভাবকদের খুব বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক।

আসছে ছোট ও কম দামের আইপ্যাড

বাজার মাতানো অ্যাপলের আইপ্যাড এবার ছোট ও কম দামে পাওয়া যাবে। ট্যাবলেট বাজারের শীর্ষস্থান দখলে নিতে অ্যাপল নিজেদের তৈরি আইপ্যাডের ছোট সংস্করণ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। ছোট আকারের পাশাপাশি নতুন এই আইপ্যাডের দামও কম হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বাজারে থাকা গুগলের নেক্সাস-৭, আমাজনের কিন্ডল ফায়ার, মাইক্রোসফটের সম্ভাব্য নিজেদের ট্যাবলেটের সঙ্গে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করতে নানা ধরনের নতুন সুবিধা যুক্ত হচ্ছে নতুন মিনি আইপ্যাডে। মাত্র ৭.৫৮ ইঞ্চির নতুন মিনি আইপ্যাডের দাম হতে পারে ৪৯৯ ডলার। টেক্সটবুক ব্যবসার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষভাবে নতুন আইপ্যাড মিনি ট্যাবলেট তৈরি হচ্ছে, যা অ্যাপলকে আবার বাজারের সেরা করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
অ্যাপলের সাবেক ব্যবস্থাপক ল্যাসিলি গ্র্যান্ডি বলেন, ‘যাঁরা মূলত আইপ্যাডকে বড় মনে করে ব্যবহার করতে আগ্রহী নন, তাঁদের জন্যই বিশেষ এই মিনি আইপ্যাড।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে শীর্ষে থাকতে চাইলে সাইজ যাই হোক না কেন, আইপ্যাড মিনিতে নতুন নানা সুবিধা, বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, যা ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে। ইতিমধ্যে নতুন আইপ্যাড মিনি নিয়ে অ্যাপলপ্রেমীদের মধ্যে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। কবে আসবে বাজারে, সেই অপেক্ষায় আছেন আগ্রহী ক্রেতারা। —টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে কাজী আশফাক আলম

ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মেয়ার

সবাইকে বিস্মিত করে আজ মঙ্গলবার গুগল কর্মকর্তা মারিসা মেয়ারকে ইয়াহু করপোরেশন তাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে এ বছর দুইবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পরিবর্তন হয়েছে ইয়াহুতে। মারিসা মেয়ার তৃতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আসছেন। বর্তমানে ইয়াহুতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ইয়াহুর গ্লোবাল মিডিয়া প্রধান রস লেভিনসন। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব বুঝে নেবেন মারিসা মেয়ার।
মারিসা মেয়ার ১৯৯৯ সালে গুগলের ২০তম কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। গুগলে তিনিই প্রথম নারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। মারিসা গুগলের জ্যেষ্ঠ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। গুগলে তাঁর পেশাজীবন শুরুর সময় গুগল সার্চ প্রোডাক্টস ও ইউজার এক্সপেরিয়েনস-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পরে সে পদ ছেড়ে লোকেশন-বেজড সার্ভিসের প্রধান হিসেবে যোগ দেন।
গুগল সার্চের জিও/লোকাল সার্ভিস দেখাশোনা করা ও ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছিলেন মারিসা।
মারিসা মেয়ার ২০০৮ সালে প্রযুক্তিবিশ্বে বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন। এই সময় ফরচুন সাময়িকীর বিচারে সেরা ৫০ জন প্রভাবশালী নারীর তালিকায়ও তাঁর নাম উঠেছিল। এবার ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দিয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে আবারও সাড়া ফেললেন তিনি।
ইয়াহুর পরিচালনা পর্ষদ মেয়ারকে হঠাত্ই নিয়োগ দিয়ে ফেলেছেএ—মন ধারণা প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের। এ পদের জন্য নিয়োগ-বিষয়ক কোনো আলোচনাতেই তিনি ছিলেন না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি ফেসবুকের সঙ্গে মামলা সমঝোতা করা লেভিনসনকেই উপযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মনে করা হচ্ছিল। এ পদে ভিডিওবিষয়ক ওয়েবসাইট হুলু এলএলসির প্রধান জ্যাসন কিলারের নামও এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়ারকেই ইয়াহুর ‘হট’ সিটের জন্য নির্বাচিত করেছে পরিচালনা পর্ষদ। ইয়াহুর এ পদটিকে ‘হট’ বলার কারণ, এই পদে গত পাঁচ বছরে পাঁচজন কর্মকর্তার বদল হয়েছে।
ফেসবুক ও গুগলের সঙ্গে ক্রমেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে পড়া ইয়াহুকে চাঙা করতে ও লাভে ফেরাতে কাজ করতে হবে মেয়ারকে।
নতুন পদ প্রসঙ্গে মারিসা মেয়ার এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, ১৭ জুলাই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি খুবই উত্ফুল্ল।
ইয়াহুর প্রধান নির্বাহীর পদটিকে এখন সবচেয়ে ‘চ্যালেঞ্জিং’ পদ বলেই মনে করা হচ্ছে। ইয়াহুর এ পদটিতে স্কট থম্পসন মাত্র পাঁচ মাস টিকেছিলেন। কর্মী ছাঁটাই, বিভিন্ন সেবা বন্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভে ফেরালেও জীবনবৃত্তান্তে ঘষামাজার অভিযোগে পদ ছাড়তে হয় তাঁকে। ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া ইয়াহুকে লাভের মুখে দেখাতে নতুন কর্মকর্তা মেয়ারকে অনেক কাজ করতে হবে। ইয়াহুর ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ তাই অন্তর্বর্তীকালীন সিইওর পরিবর্তে প্রযুক্তির জ্ঞান রয়েছে—এমন কর্মকর্তা হিসেবেই তাঁকে নির্বাচিত করেছেন। মারিসা মেয়ারের অতীত অভিজ্ঞতা ও কাজের ধরনে তাঁদের আস্থা রাখতে পারবেন বলেই ইয়াহুর কর্মকর্তারা মনে করছেন।

শীর্ষে উঠে আসছে লেনেভো

চীনের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভো চলতি বছরের শেষ নাগাদ কম্পিউটার বিক্রির হিসাবে হিউলেট প্যাকার্ডকে (এইচপি) হটিয়ে বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। লেনোভোর এই রেকর্ড ছুঁতে পারাটা চীনা কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে আসার ঘটনা হবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনার ও আইডিসির প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, লেনোভো ও হুয়াউয়ে চলতি বছরেই কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করবে। তাঁরা হিসাব করে দেখেছেন, দেশ ও দেশের বাইরে কম্পিউটার বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পন্থা গ্রহণ করা ও দামের বিষয়টিই লেনোভোকে চলতি বছরের বিক্রির তালিকায় উপরের দিকে তুলে এনেছে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত হংকংয়ের অ্যাভান্ট ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রেডরিক ওয়াং জানিয়েছেন, লেনোভোর এক নম্বরে যাওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। তবে এই বছরের শেষ নাগাদ লেনোভো শীর্ষে পৌঁছে গেলেও এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। তবে ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে লেনোভোর এখনো কিছু দুর্বলতা রয়েছে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এই তিন মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম্পিউটার বিক্রি করেছিল লেনোভো। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসে বাজারে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ দখল করেছিল প্রতিষ্ঠানটি, যা এইচপির চেয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কম। এ বছরের শেষ নাগাদ এইচপিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে টেলিকম পণ্যের বাজারে চীনের হুয়াউয়ে টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটিও সুইডেনের এরিকসনকে পেছনে ফেলে শিগগিরই বাজারের শীর্ষস্থানে চলে আসবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে হুয়াউয়ে কর্তৃপক্ষ।

ট্যাবলেটে নতুন মাইক্রোসফট অফিস

টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির ট্যাবলেট কম্পিউটারের জন্য ১৬ জুলাই মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারের নতুন একটি সংস্করণের ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমার। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ক্লাউড-নির্ভর এই মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত করবে মাইক্রোসফট। এ সফটওয়্যার প্যাকেজটির সঙ্গে মাইক্রোসফটের ভিওআইপি সেবা ‘স্কাইপি’ যুক্ত করার এক পরিকল্পনাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অফিসের সর্বশেষ পরিবর্তন এনেছিল মাইক্রোসফট। এ সময় মাইক্রোসফট অফিসকে অনলাইন সংস্করণ হিসেবে চালু করা হয়েছিল।
অবশ্য উইন্ডোজনির্ভর ট্যাবলেট ছাড়া আইপ্যাড বা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর ট্যাবলেটে মাইক্রোসফটের অফিস প্রোগ্রাম চালু করা হবে কি না, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি বলমার।
বলমার জানিয়েছেন, এমএস অফিসের অন্যান্য সংস্করণে তথ্য কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষিত হতো। নতুন সংস্করণে মাইক্রোসফট অনলাইন সেবা ‘স্কাইড্রাইভ’ ডিফল্ট হিসেবে থাকবে। মাইক্রোসফট অফিসের তথ্য সরাসরি ফেসবুকে শেয়ার বা কোনো ব্লগেও প্রকাশ করা যাবে।
বলমার আরও জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট অফিসের নতুন এ সংস্করণটি ট্যাবলেট কম্পিউটারের জন্য একটি ক্লাউড সেবা হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। অফিস ১৫ মাইক্রোসফটের একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হিসেবে পরিচিত। ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্টের মতো মূল প্রোগ্রামের পাশাপাশি ওয়েব টুল ‘অফিস ৩৬৫’, ই-মেইল ম্যানেজমেন্ট টুল ‘এক্সচেঞ্জ’, এন্টারপ্রাইজ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘শেয়ারপয়েন্ট’, এন্টারপ্রাইজ মেসেজ টুল ‘লিঞ্চ’, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ‘প্রোজেক্ট’ ও ডায়াগ্রাম এডিটর ‘ভিজিও’ সুবিধা অফিস ১৫-তে যোগ হবে।
২০১৩ সালের শুরুর দিকে বাজারে আসতে পারে ‘মাইক্রোসফট অফিস ১৫’ হিসেবে পরিচিত নতুন সংস্করণটি। ব্যবহারকারীরা বর্তমানে অনলাইনে এর প্রিভিউ সংস্করণটি দেখে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।