
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েল ফার্গো ব্যাংকের কৃষি অর্থনীতিবিদ মাইকেল সোয়ানসন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে জৈব জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে আর তাতেই বাড়ছে দাম। খাদ্যশস্যনির্ভর ইথানল তৈরি করা বন্ধ করার প্রসঙ্গ আলাদা’।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে দুর্বিষহ খরা। দেশটির ৫৫ শতাংশ অঞ্চলই এখন খরার কবলে। গত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে এ বছরের খরা সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ফলে দেশটিতে খাদ্যশস্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এতে পশু খামার মালিকরা পড়েছেন সমস্যায়। জৈব জ্বালানি তৈরিতে পশুখাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। টেক্সাস ও নর্থ ক্যারোলিনার মত পশু খামার আছে এমন রাজ্যগুলোর গভর্নররা ওবামা প্রশাসনের কাছে ২০০৭ সালের একটি ম্যানডেট বাদ দেওয়ার দাবি করছেন। এ ম্যানডেটে খাদ্যশস্য ব্যবহার করে ইথানল তৈরির করার নির্দেশনা রয়েছে। বুশ প্রশাসন এ ম্যানডেট সই করেছিল। তবে এখনই বিষয়টি বন্ধ করার জন্য কোনো তোড়জোড় করছে না ওবামা প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকান ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যৈষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ব্ল্যানসফিল্ড জানিয়েছেন, খাদ্যশস্য থেকে ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হলে অনেকেই হয়তো খুশি হবে আবার অনেকের জন্য তা সমস্যা তৈরি করবে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শাঁখের করাত। একধারে উপকার যেমন তেমনি খামারিরা খাবারের সংকটে পড়ছেন এর জন্যই।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, শস্যের দাম বাড়ার ফলে পশুখাদ্য ব্যবসায়ীদের ও খামারিদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে পোলট্রি ও ডেইরিতেও। অন্যদিকে আবার ইথানল তৈরিতে খাদ্যশস্যের চাহিদার কারণেই খাবারের দাম ও জমির দাম বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ইথানল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসা।
খাদ্যশস্য নির্ভর ইথানলের উত্পাদন কমিয়ে দিলে আবার কমে যাবে জমির দাম ও বায়োফুয়েলের লাভজনক ব্যবসা। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সমস্যার মধ্যে জৈব জ্বালানি নিয়ে এখন সরগরম আলোচনা তৈরি হয়েছে।