Monday, September 17, 2012

ফেসবুকের শর্টকাট কী


 
ফেসবুকে নতুন কাউকে দ্রুত বার্তা
পাঠাতে চাইলে শর্টকাট ব্যবহার করতে পারেন।
  • ফায়ারফক্স ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে নতুন বার্তা পাঠাতে
         : Shift+Alt+M
  • গুগল ক্রোম ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে নতুন বার্তা পাঠাতে: Alt+M
  • মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে নতুন বার্তা পাঠাতে: Alt+M+Enter

ওয়েবক্যাম ডেটিংয়ে প্রতারণার ফাঁদ!

ওয়েবক্যাম ব্যবহার করে ভিডিও চ্যাটিং এখন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু অপরিচিত কারও সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও অনলাইন ডেটিং সাইটগুলোতে এই ভিডিও চ্যাটিং বিপদের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ওয়েবক্যামে অনলাইন ডেটিংয়ের অর্থ এখন প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে ওয়েবক্যামে সুন্দরী তরুণী আর কথার ফাঁদে পড়ে ধোঁকা খাচ্ছে পুরুষরা। প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া ব্যক্তিটিকে কথার জালে আটকে ফেলে ওয়েবক্যামের সামনে তাকে নিরাবরণ হতে বলে প্রতারকরা। তারপর সে ভিডিও প্রচার করার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি করে।
ফ্রান্সে ওয়েবক্যামে এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রতিদিন এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ আসে। তবে যত বেশি অভিযোগ পুলিশের কাছে আসে, তার চেয়ে বেশি ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিটি এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ করতে চান না।
সম্প্রতি ফ্রান্সের ২৮ বছর বয়সী প্রতারিত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অনলাইন ডেটিং সাইট থেকে একটি মেয়ে শুরুতেই আমাকে একটা বার্তা পাঠিয়েছিল। যেহেতু সচরাচর মেয়েরা শুরুতেই এ রকম কোনো বার্তা পাঠায় না, কিন্তু অনলাইনে একটি মেয়ের কাছ থেকে প্রথম এ ধরনের বার্তা পেয়ে আমার খুব ভালো লেগেছিল। আমাকে সে প্রথম পরিচয়ে জানাল, ফ্রান্সেরই একটি শহরে তার বাড়ি। কিন্তু এখন সে ফ্রান্সে নেই। ছুটি কাটাতে আইভরি কোস্টে গেছে। পরিচয়পর্ব সেরে এমএসএন মেসেঞ্জার ব্যবহার করে আমরা কিছুক্ষণ চ্যাট করি। সে আমাকে তার একটি ভিডিও দেখায়। সে ভিডিওতে সুন্দর একটি মেয়েকে দেখে আমি মুগ্ধ হই। মেয়েটি সত্যিই সুন্দর ছিল।’
কিন্তু এ পর্যায় পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। ভিডিওতে শালীন অবস্থাতেই তাকে দেখা গেছে। একপর্যায়ে সে আমাকে বলল, ‘আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চাই কি না। প্রথমে বুঝতে পারিনি, পরে এর অর্থ জিজ্ঞাসা করায় সে আমাকে নিরাবরণ হতে বলে। আমার সবকিছু সে দেখতে চায় বলে জানায়। এ সময় সে আরেকটি ভিডিও চালু করে, যেখানে সেও নিরাবরণ হচ্ছিল। এ ঘটনা আমাকে পুরোপুরি হতবাক করে দিয়েছিল। এ যে কোনো প্রতারণার ফাঁদ, আমার তা ধারণাতেই আসেনি। বিষয়টি আমি সত্যি বলে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে তার আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার হতে পাঁচ মিনিটের বেশি লাগেনি। এ ঘটনার পাঁচ মিনিট পর সে আমাকে একটা বার্তা পাঠাল; যাতে লেখা, “আমি তোমার যে ভিডিওটি তুলেছি, সেটা একবার দেখো। যদি এ ভিডিও প্রচার আটকাতে চাও এখনই ৫০০ ইউরো পাঠাও। এরপরই শুরু হলো হুমকি—শিগগিরই অর্থ না পাঠালে এ ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করতে যাচ্ছি।’”
প্রতারিত হওয়া ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে আমাকে পুরোপুরি চেনা যাচ্ছে। আর আমাকে হুমকি দিয়ে পাঠানো লিংকটিতে অনেকেরই এ রকম ভিডিও রয়েছে; যাদের এভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে। দাবি না মানলে প্রতারক তখন অন্যভাবে হুমকি দিতে থাকে। ভিডিওতে প্রতারণার শিকার ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য জুড়ে দেয় ও যৌন হয়রানির অভিযোগ আনে।’
ফ্রান্সের সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট লিমোইন জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তি তা প্রকাশ করেন না। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তা প্রকাশ করতে ভয় পান ও হতাশ হয়ে পড়েন। ওয়েবক্যাম ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়ার ঘটনা, তাই সচরাচর প্রকাশ্যে আসে না। যদি অর্থ পরিশোধ করা না হয়, তবে প্রতারক চক্র পুলিশের এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয় ও ভুয়া কোনো ওয়েবসাইটে এ ভিডিওটি পোস্ট করে ইন্টারপোল, স্থানীয় পুলিশ বা ফ্রেঞ্চ পুলিশ হিসেবে হুমকি দিতে শুরু করে। এ ছাড়া প্রতারকরা পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে ভুয়া কাগজপত্র মেইল করে জরিমানা পর্যন্ত চাইতে পারে। এমনকি একবার অর্থ পেলেও বারবার বিভিন্ন ছুতোয় এরা অর্থ দাবি করে হুমকি দিতে থাকে। এ ধরনের ব্ল্যাকমেইলের একপর্যায়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
এ প্রসঙ্গে ফ্রান্সের ‘লা মন্ডের’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, অনেকেই প্রতারণার এ বিষয়টি ধরতে পারেন না। শুরুতে তাঁরা বিষয়টিকে হালকাভাবেই নেন। ‘লা মন্ডের’ সাংবাদিক লরি বেলট জানান, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ওয়েবক্যামের সামনে কাপড় খোলার ঘটনা আমরা নির্বোধ লোকের কাজ বলে মনে করতে পারি, কিন্তু ভুললে চলবে না, আমাদের সমাজ একাকিত্বের সমাজ। অনেকেই রাতের বেলা তাঁদের ঘরে একা থাকেন। তাঁর সঙ্গী থাকে ইন্টারনেটযুক্ত কম্পিউটার। আমাদের একাকিত্বের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনলাইন ডেটিংয়ে এ ধরনের প্রতারণা বেড়েই চলেছে।
যে ব্যক্তি এ ধরনের প্রতারণার শিকার হন তাঁর উচিত কাছের মানুষের কাছে তা খুলে বলা। কারণ একাকী এ ধরনের ঘটনায় বিষণ্নতা ও উদ্বেগ বাড়তে পারে। এ ধরনের ঘটনা তরুণদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকির। তাই তাঁদের সচেতনতা জরুরি।
এদিকে কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসনের গবেষকেরা জানিয়েছেন, অনলাইন ডেটিং মানেই মিথ্যার বেসাতি। ডেটিং সাইটগুলোতে যে তথ্য দেওয়া থাকে, তাতে প্রকৃত তথ্যের চেয়ে মিথ্যাই থাকে অনেক বেশি।
গবেষকেরা অনলাইনে ডেটিং সাইট ব্যবহার করেন এমন ৭৮ জনের প্রকৃত তথ্য এবং তাঁদের আলাদা চারটি অনলাইন ডেটিং সাইটে দেওয়া বয়স, উচ্চতা ও অন্যান্য তথ্য তুলনা করে দেখেছেন, সেখানে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত লেখার বদলে সেখানে সংক্ষিপ্ত আকারে তথ্য দেওয়া হয়েছে বা আসল তথ্য দেওয়ার পরিবর্তে ঘোরানো-প্যাঁচানো কথা সাজানো হয়েছে। গবেষকেরা দেখেছেন, ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বের করা মুশকিল হলেও গবেষকেরা জানিয়েছেন, অনলাইন ডেটিং থেকে বাস্তবের সঙ্গী নির্বাচনের আগে প্রকৃত তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, এ ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে হয় অনেককেই। অনলাইন ডেটিংয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি বের করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। মিথ্যা বলার কৌশলগুলো ধরতে পারলেই মিথ্যুক সঙ্গীকে বের করা বেশ সহজ। অনলাইনে সঙ্গী নির্বাচনে কৌশলী ও সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। অনেকেই ধারণা করেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেটা ইন্টারনেটে হয়তো সব সময় থেকে যাবে। তবে সব সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। অনেক বিষয় ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলা যায়, বিশেষ করে ওয়েবক্যাম ব্ল্যাকমেইলের মতো ঘটনা। ইউটিউব সাধারণত এ ধরনের ভিডিও রাখে না। এ ধরনের ভিডিও পতাকা দেখিয়ে নামিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাও করা যায়।
এ বিষয়ে ফ্রান্সের পুলিশের পরামর্শ, কখনো প্রতারকের কথামতো কাজ করা যাবে না। তাঁর হুমকি-ধমকিকে পাত্তা দেওয়া যাবে না। আর অর্থ পরিশোধের প্রশ্নই ওঠে না। এতে করে প্রতারক হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। এ রকমটাই ঘটেছিল ২৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের কাছে ত্বরিত অভিযোগ করতে হবে।

রুততম সুপারকম্পিউটার বানাবে ভারত

দ্রুততম সুপারকম্পিউটার বানাবে ভারত

undefined
বিশ্বের সবচে দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা করেছে ভারত। ২০১৭ সাল নাগাদ ৪ হাজার ৭০০ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করে এ কম্পিউটার তৈরি করবে দেশটি।
ভারতের তৈরি এই সুপারকম্পিউটার বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার সিকুইয়া’র তুলনায় ৬১ গুণ দ্রুত কাজ করতে পারবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
ভারতের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অব অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সি-ডিএসি) নামের সংস্থাটি এক্সাফ্লপ গতির সুপারকম্পিউটার তৈরি করতে পারে। এক এক্সাফ্লপ হচ্ছে ১ পেটাফ্লপের চেয়ে হাজার গুণ দ্রুতগতির হিসাব করার ক্ষমতা। কম্পিউটারের কাজ করার দক্ষতা নির্ণয়ের একক হচ্ছে ফ্লপস। আগে এই এককের নাম ছিল ইন পার সেকেন্ড। অর্থাত্, কম্পিউটার এক সেকেন্ডে কতটি নির্দেশনা পালন করতে পারে। আর এক পেটাফ্লপস ১০১৫ ফ্লপসের সমান।
সুপারকম্পিউটারের গতির দিক থেকে সারাবিশ্বের সুপারকম্পিউটারের মধ্যে ভারতের অবস্থান ৫৮। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার সিকোইয়ার গতি ১৬.৩২ পেটাফ্লপ যার অর্থ ৭৮ লাখ দ্রুতগতির ল্যাপটপের সমান।

Wednesday, September 12, 2012

এইচপি কম্পিউটার

এইচপির প্রো ৩৩৩০ এমটি মডেলের নতুন কম্পিউটার বাজারে এসেছে। এই ব্র্যান্ড পিসিতে রয়েছে ইন্টেলের ডুয়াল কোর প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র‌্যাম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, এইচপি ইউএসবি কি-বোর্ড, ১৮.৫ ইঞ্চি এলইডি মনিটর ইত্যাদি। স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের বাজারে আনা কম্পিউটারটি দাম ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। রয়েছে তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা।

তিন টেরাবাইটের হার্ডডিস্ক

ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ব্র্যান্ডের তিন টেরাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার হার্ডডিস্ক বাজারে এসেছে। ডব্লিউডি৩০ইজেডআরএক্স মডেলের এই এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কটিতে প্রতি সেকেন্ড ৬গিগাবাইট তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। কম্পিউটার সোর্স লিমিটেডের বাজারে আনা হার্ডডিস্কের দাম ১৭ হাজার টাকা। রয়েছে দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা।

নতুন এলইডি মনিটর

ই২৩৫২
বাজারে এসেছে এওসি ব্র্যান্ডের ই২৩৫২ পিএইচজেড মডেলের ২৩ ইঞ্চি থ্রিডি এলইডি মনিটর। নতুন এই মনিটরের পর্দা ১৯২০*১০৮০ যা পুরোপুরিভাবেই এইচডি ভিডিও ফরমেট ব্যবহার করে তৈরি করা। এর কস্ট্রাস্ট রেশিও দুই মিলিয়ন: ১ এবং রেসপন্স টাইম পাঁচ মিলি সেকেন্ড, এটি ১৬ মিলিয়ন রং সমর্থন করে। এর ভিজিএ, এইচডিএমআই পোর্ট ব্যবহার করে ডেস্কটপ মনিটরে সংযোগ স্থাপন করা যায়। বিজনেসলিংক কম্পিউটারস লিমিটেডের বাজারে আনা মনিটরটির দাম ৩৫ হাজার টাকা।

চলে গেলেন ল্যাপটপের প্রথম নকশাবিদ

বিল মগরিজ (১৯৪৩-২০১২) প্রথম ল্যাপটপ গ্রিড কম্পাস
চলে গেলেন প্রথম ল্যাপটপ কম্পিউটার নকশাবিদ বিল মগরিজ। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই নকশাবিদ ৬৯ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। তাঁর উদ্ভাবনের ফলেই পার্সোনাল কম্পিউটারের (পিসি) জায়গায় আসে বহনযোগ্য ল্যাপটপ।১৯৭৯ সালে মগরিজ প্রথম ‘গ্রিড কম্পাস’ নামে ল্যাপটপের নকশা করেন। এটি মার্কিন সেনাবাহিনীতে ব্যবহূত হয়।
পণ্য নকশার অন্যতম পুরোধা বিল ছিলেন আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন ও নকশা প্রতিষ্ঠান আইডিইওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এ ছাড়া ২০১০ সাল থেকে তিনি নিউইয়র্কে স্মিথসনিয়ান ইনস্টিটিউটের জাতীয় নকশা জাদুঘরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাঁর তৈরি করা গ্রিড কম্পাসই বিশ্বের প্রথম ল্যাপটপ হিসেবে পরিচিত।
১৯৮২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটারটি বাজারে আসে, যার দাম ছিল আট হাজার ১৫০ ডলার। মানুষের ব্যবহারের পাশাপাশি যন্ত্রটি মহাকাশেও পাঠানো হয়। ১৯৪৩ সালের ২৫ জুন লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা বিলের বাবা ছিলেন ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও মা ছিলেন চিত্রকর। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্যের সম্মানসূচক প্রিন্স ফিলিপ ডিজাইনার পুরস্কার পান। —বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্ট অবলম্বনে কাজী আশফাক আলম

হ্যাসওয়েল বদলাবে কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ!

সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ইনটেল ডেভেলপার ফোরাম নামের বার্ষিক এক অনুষ্ঠানে হালকা-পাতলা ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট দেখিয়েছে চিপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইনটেল। এই অনুষ্ঠানে এ ধরনের পণ্যের উপযোগী `হ্যাসওয়েল' নামের প্রসেসরের দুটি সংস্করণের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ প্রসঙ্গে ইনটেলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হ্যাসওয়েল প্রসেসর বিদু্ৎ-সাশ্রয়ী। ইনটেলের বর্তমান আইভিব্রিজ প্রসেসরের চেয়েও অর্ধেক বিদু্যত্ খরচ করবে হ্যাসওয়েল। আগামী বছর বাজারে আসবে নতুন এ প্রসেসর।
ইনটেলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উইন্ডোজনির্ভর ল্যাপটপ, আলট্রাবুক ও ট্যাবলেটের কথা মাথায় রেখে নতুন প্রসেসরের নকশা করা হয়েছে। এই প্রসেসরে গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) উন্নত করা হয়েছে। এ ছাড়া সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (সিপিইউ) ও প্লাটফর্ম কন্ট্রোলার হাব (পিসিএইচ) একসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, ফলে কম্পিউটারে দ্রুতগতির তথ্য প্রসেস করার পাশাপাশি ইউএসবি, অডিও ও তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাও উন্নত হবে।
হ্যাসওয়েল প্রসেসরনির্ভর কম্পিউটার কণ্ঠস্বর শনাক্তকারী প্রযুক্তি, জেশ্চার বা অঙ্গভঙ্গি শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মতো নতুন প্রযুক্তিও সমর্থন করবে।
বিদু্ৎ-সাশ্রয়ী প্রসেসর হিসেবে কম্পিউটিংয়ের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রাফিকসের মানও উন্নত করবে হ্যাসওয়েল। এ প্রসেসরটি বিদু্যতের খরচ ১৭ ওয়াট থেকে নামিয়ে আনবে ১০ ওয়াটে। ফলে এ প্রসেসর চালিত ল্যাপটপে চার্জ থাকবে দীর্ঘসময় ধরে। হ্যাসওয়েলের একটি সংস্করণ ১৫ ওয়াট ও আরেকটি মাত্র ১০ ওয়াট বিদু্যতে চলবে।
প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্রমশ চাহিদা কমে যাচ্ছে। তবে নতুন প্রজন্মের ইনটেলের প্রসেসর কম্পিউটার বাজার ঘুরে দঁাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

নতুন সম্ভাবনা দেখছেন জাকারবার্গ (ভিডিও)

আইপিও নিয়ে মাঝে কিছুদিন হতাশ ও নিশ্চুপ থাকলেও ফেসবুক নিয়ে নতুন সম্ভাবনার কথা শোনালেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
শেয়ারবাজারে আইপিও ছাড়ার পর এই প্রথমবারের মতো বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সানফ্রান্সিসকোতে আলোচনা করেছেন জাকারবার্গ। ফেসবুক শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়া ও ফেসবুকের ব্যবসাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চলতি বছরের মে মাসে ৩৮ ডলার মূল্যের শেয়ার ছাড়ে ফেসবুক। তবে বর্তমানে শেয়ারের দাম পড়ে গিয়ে তা ঠেকেছে ১৯ ডলারে। বিষয়টি নিয়ে খানিক হতাশাগ্রস্ত হলেও ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী জাকারবার্গ সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন। আইপিও ছাড়ার পদ্ধতিতে কিছুটা ভুল হয়েছিল বলেও স্বীকার করেছেন তিনি।
জাকারবার্গ বলেন, ‘আইপিও ছাড়ার পর আমি প্রথম প্রকাশ্যে কথা বলছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেকেই বিষয়টি ভুল বুঝেছেন।’ কিন্তু ফেসবুক ঘুরে দাঁড়াতে এবং আর্থিকভাবে লাভে ফিরতে নতুন কিছু শাখা চালু করেছে। এতে করে ফেসবুকের ব্যবহারকারী বাড়বে। পাশাপাশি মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ানোর কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁর মতে, মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বেশিক্ষণ ধরে রাখার পদ্ধতিটি সফল হলে আরও বেশি অর্থ আয় করতে শুরু করবে ফেসবুক।
ফেসবুকে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে জাকারবার্গ বলেন, বর্তমানে ফেসবুক নতুন করে সাজানো ও নতুন বিজ্ঞাপন চালু করার প্রক্রিয়ার মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। ফেসবুক সার্চ উন্নত করা হচ্ছে। মানুষ যা জানতে চায় সে রকম অনেক সার্চ রেজাল্ট জমা করেছে ফেসবুক। ফেসবুকের একটি দল সার্চ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
জাকারবার্গ বলেন, ফেসবুক বর্তমানে স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে ফেসবুক স্মার্টফোন তৈরি করলে তা ফেসবুকের জন্য ভালো হবে না বলেই মনে করেন তিনি।

মামলা ঘাড়ে আসছে `আইফোন ৫'

প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে অ্যাপলের `আইফোন ৫' আসছে-এমন গুজব চলছে। অবশ্য প্রযুক্তিবিশ্লেষকদের ধারণা, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের ১২ সেপ্টেম্বরেই হয়তো অ্যাপল ঘোষণা দিতে পারে আইফোনের নতুন সংস্করণ।
কিন্তু বাজারে আসার আগেই পেটেন্ট ভঙ্গের অভিযোগে আইফোনের নির্মাতা অ্যাপলের বিরুদ্ধে নতুন স্মার্টফোনটি নিয়ে মামলা হয়েছে। অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান তাইওয়ানের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন আইফোন বিক্রিতে আগেভাগেই নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেছে। খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
এইচটিসির অভিযোগ, অ্যাপলের `নিউ আইপ্যাড' ও নতুন যে আইফোন বাজারে আসবে, তাতে এইচটিসির দুটি পেটেন্ট লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
উলে্লখ্য, এইচটিসি ও অ্যাপলের মধ্যে পেটেন্ট নিয়ে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি এইচটিসির করা এ মামলায় প্রতিষ্ঠানটি জিতলে অ্যাপলের কাছ থেকে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ পাবে। পাশাপাশি নতুন আইফোন বিক্রি করতে হলে এইচটিসির সঙ্গে সমঝোতাও করতে হবে।
চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ও বড় আকারের ফাইল স্থানান্তর প্রযুক্তি-সংক্রান্ত পেটেন্ট এইচটিসি হস্তগত করেছে এডিসি টেলিকমিউনিকেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। এইচটিসি তাদের থান্ডারবোল্ট নামের স্মার্টফোনে এলটিই প্রযুক্তি যুক্ত করেছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে পেটেন্ট-সংক্রান্ত মামলায় হেরে যাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন আইফোনে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক (এলটিই) ব্যবহার করা হলে তারা মামলা করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আইফোন বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাইবে। স্যামসাং ছাড়াও চীনের একটি মোবাইল ফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাপলের নতুন আইফোনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে রেখেছে।
প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, অ্যাপল যদি নতুন আইফোনে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক যুক্ত না করে, তবে প্রতিষ্ঠানটি স্যামসাংয়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে। এদিকে যে প্রযুক্তিটি নিয়ে স্যামসাং ও এইচটিসি মামলা করবে, ওই প্রযুক্তিটি আইফোনে থাকছে বলেই ধারণা করছেন প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা।
অ্যাপল মূলত চীনে অবস্থিত কারখানায় আইফোন ও আইপ্যাড তৈরি করে এবং পরে তা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বাজারে বিক্রি করে।
১২ সেপ্টেম্বর সান ফ্রান্সিসকোর ইয়ারবা বুয়েনা সেন্টার ফর দ্য আর্টসে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে অ্যাপল। এ অনুষ্ঠানেই অ্যাপলের নতুন পণ্যের ঘোষণা দেবেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক। প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ১২ সেপ্টেম্বর `আইফোন ৫', নতুন আইপড টাচ ও আইম্যাকের ঘোষণা দিতে পারেন টিম কুক।
হালকা-পাতলা নতুন আইফোনের সঙ্গে নতুন ডক কানেক্টর, এয়ারফোনসহ নতুন বেশ কিছু যন্ত্রাংশ থাকতে পারে। এ ছাড়া আইফোনের স্ক্রিন তুলনামূলকভাবে বড় হতে পারে। থাকতে পারে দ্রুতগতির প্রসেসর, র্যাম ও নতুন সফটওয়্যার।
প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বাজারে নতুন আইফোনের বিক্রিতে এইচটিসি, স্যামসাংয়ের মামলা বাধার সঙ্গে নকিয়া, এলজিসহ অ্যান্ডড্রয়েডচালিত নতুন স্মার্টফোনগুলোর বাধাও পেরোতে হবে আইফোন ৫কে। থাকতে হবে ভোক্তাদের জন্য নতুন কোনো চমক।

Thursday, September 6, 2012

যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালাক্সি এস৩ সবচেয়ে জনপ্রিয়!

২০০৭ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছিল বায়োফুয়েলের ব্যবহার। ভুট্টা ও গমের মত খাদ্যশস্য ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে ইথানল তৈরি করা হয়, যা বায়োফুয়েল বা জৈবজ্বালানি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে দেশটিতে জ্বালানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যশস্য ব্যবহার করে ইথানল তৈরির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আবার এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান খরা পরিস্থিতিতে খাদ্য ঘাটতির এ সময়ে অনেকেই ইথানল তৈরিতে অধিক খাদ্যশস্য ব্যয়ের বিরোধিতা করছেন । তবে দেশটির কৃষি ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ইথানল তৈরির পক্ষে বিপক্ষে যাই থাকুক না কোনো এর বর্তমান চাহিদার কারণেই ইথানল তৈরি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েল ফার্গো ব্যাংকের কৃষি অর্থনীতিবিদ মাইকেল সোয়ানসন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে জৈব জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে আর তাতেই বাড়ছে দাম। খাদ্যশস্যনির্ভর ইথানল তৈরি করা বন্ধ করার প্রসঙ্গ আলাদা’।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে দুর্বিষহ খরা। দেশটির ৫৫ শতাংশ অঞ্চলই এখন খরার কবলে। গত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে এ বছরের খরা সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ফলে দেশটিতে খাদ্যশস্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এতে পশু খামার মালিকরা পড়েছেন সমস্যায়। জৈব জ্বালানি তৈরিতে পশুখাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। টেক্সাস ও নর্থ ক্যারোলিনার মত পশু খামার আছে এমন রাজ্যগুলোর গভর্নররা ওবামা প্রশাসনের কাছে ২০০৭ সালের একটি ম্যানডেট বাদ দেওয়ার দাবি করছেন। এ ম্যানডেটে খাদ্যশস্য ব্যবহার করে ইথানল তৈরির করার নির্দেশনা রয়েছে। বুশ প্রশাসন এ ম্যানডেট সই করেছিল। তবে এখনই বিষয়টি বন্ধ করার জন্য কোনো তোড়জোড় করছে না ওবামা প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকান ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যৈষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ব্ল্যানসফিল্ড জানিয়েছেন, খাদ্যশস্য থেকে ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হলে অনেকেই হয়তো খুশি হবে আবার অনেকের জন্য তা সমস্যা তৈরি করবে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শাঁখের করাত। একধারে উপকার যেমন তেমনি খামারিরা খাবারের সংকটে পড়ছেন এর জন্যই।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, শস্যের দাম বাড়ার ফলে পশুখাদ্য ব্যবসায়ীদের ও খামারিদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে পোলট্রি ও ডেইরিতেও। অন্যদিকে আবার ইথানল তৈরিতে খাদ্যশস্যের চাহিদার কারণেই খাবারের দাম ও জমির দাম বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ইথানল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসা।
খাদ্যশস্য নির্ভর ইথানলের উত্পাদন কমিয়ে দিলে আবার কমে যাবে জমির দাম ও বায়োফুয়েলের লাভজনক ব্যবসা। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সমস্যার মধ্যে জৈব জ্বালানি নিয়ে এখন সরগরম আলোচনা তৈরি হয়েছে।

দুই লুমিয়া নিয়ে নকিয়ার শেষ চেষ্টা (ভিডিও)

নিউ ইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর নকিয়ার প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ইলোপ লুমিয়া সিরিজের উইন্ডোজ নির্ভর দুটি স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছেন। উইন্ডোজ ফোন ৮ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর নতুন দুটি স্মার্টফোন হচ্ছে- লুমিয়া ৯২০ ও লুমিয়া ৮২০। অনুষ্ঠানে নকিয়ার প্রধান নির্বাহী এ ফোনটি নিয়ে উচ্চাশা পোষণ করলেও প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন- এ দুটি স্মার্টফোনই নকিয়ার জন্য শেষ সুযোগ হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ইলোপ জানিয়েছেন, ‘লুমিয়া ৯২০ ও লুমিয়া ৮২০ বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের ফোন’। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।
আগামী বছরের শুরুতেই এ স্মার্টফোন দুটি বাজারে আনবে ফিনল্যান্ডের মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া।
লুমিয়া ৯২০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে সাড়ে চার ইঞ্চি মাপের বাঁকানো এইচডি প্রযুক্তির ডিসপ্লে, ডুয়াল কোরের ১.৫ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) প্রযুক্তি, ৮ মেগাপিক্সেল পিউরিভিউ ক্যামেরা সুবিধা। শক্ত প্লাস্টিক বা পলিকার্বনেটের তৈরি লুমিয়া ৯২০ স্মার্টফোনটিতে তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। এলটিই এবং এইচএসপিএ+ উভয় প্রযুক্তি সমর্থন করবে লুমিয়া ৯২০।
লুমিয়া সিরিজের নতুন ৮২০ স্মার্টফোনটি ৪.৩ ইঞ্চি মাপের সমান্তরাল ওএলইডি স্ক্রিনের সঙ্গে রয়েছে ডুয়াল কোরের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, এনএফসি ও তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতি। লুমিয়া ৮২০ এ রয়েছে কার্ল জেইস লেন্স ভিত্তিক ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এছাড়া ভয়েস চ্যাটের জন্য সামনের দিকে রয়েছে ভিজিএ ক্যামেরা। ৮ গিগাবাইট মেমোরির পাশাপাশি রয়েছে মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা এবং ৭ গিগাবাইট স্কাই ড্রাইভ স্পেস। সাতটি রঙে বাজারে আসবে নকিয়ার লুমিয়া ৮২০।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর এ দুটি স্মার্টফোনের মাধ্যমেই স্মার্টফোনের বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছে নকিয়া।
স্মার্টফোন দুটির দাম বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি নকিয়া।

এইচটিসির উইন্ডোজ ফোন আসছে ১৯ সেপ্টেম্বর

স্যামসাং ও নকিয়ার পর এবার উইন্ডোজ ফোন তৈরির ঘোষণা দিতে চলেছে তাইওয়ানের ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এইচটিসি। ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনও ডেকেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ অনুষ্ঠানেই প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ফোন ৮নির্ভর স্মার্টফোনের ঘোষণা দিতে পারে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটস।
নিউইয়র্কে ওই সংবাদ সম্মেলনে ‘জেনিথ’ ‘অ্যাকর্ড’ ও ‘রিও’ নামের তিনটি মডেলের উইন্ডোজ স্মার্টফোনের ঘোষণা দিতে পারে এইচটিসি। প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এইচটিসির জেনিথ হবে হাই এন্ডের বা বেশি দামের স্মার্টফোন, অ্যাকর্ড মিড রেঞ্জের বা মাঝারি মূল্যের আর রিও হবে লোয়ার এন্ডের বা সাশ্রয়ী দামের।
চলতি বছরের জুন মাসে মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছিল চারটি উইন্ডোজ ফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের নাম। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: স্যামসাং, নকিয়া, এইচটিসি ও হুয়াউয়ে। ইতিমধ্যে স্যামসাং এটিভ এস নামে উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। নকিয়া আনছে লুমিয়া ৯২০ ও লুমিয়া ৮২০। ১৯ সেপ্টেম্বর এইচটিসির পক্ষ থেকে ঘোষণা আসবে উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোনের। তবে এখনো চীনের হুয়াউয়ের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা আসেনি। এ চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সনি ও এসার উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারে।

ট্যাবলেটের যুদ্ধের জন্য আমাজন প্রস্তুত

অনলাইনে পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমাজন আজ ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নতুন পণ্যের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্টারনেটের এ যুগে মোবাইল পণ্যের ক্ষেত্রে আমাজনের নতুন সৈনিক হিসেবেই এ পণ্যগুলো বাজারে আসবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৬ সেপ্টেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৭ ইঞ্চি কিন্ডল ফায়ারের একটি নতুন সংস্করণের সঙ্গে ১০ ইঞ্চি কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেটের ঘোষণা দিতে পারে আমাজন। একই সঙ্গে নতুন কিন্ডল ই-বুক রিডারেরও ঘোষণা দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, আমাজনের কিন্ডল ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে দামই সবচেয়ে বড় নির্ণায়ক। একমাত্র সাশ্রয়ী দামের ট্যাবলেটই আমাজনকে যুদ্ধে জয়ী করতে পারে।
আমাজনকে বর্তমানে ট্যাবলেটের বাজারে অ্যাপল ও গুগলের অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ট্যাবলেটের সঙ্গে টিকে থাকার লড়াই লড়তে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্যাসিফিক ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের প্রযুক্তি বিশ্লেষক চাদ বার্টলে জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ভিত্তিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্যাবলেট যুদ্ধে জয়ী হওয়াটা আমাজনের জন্য জরুরি।
যুদ্ধে জয়ী হতে আমাজন অবশ্য বেশ কিছু ফিচারে পরিবর্তন আনছে। ‘কিন্ডল ফায়ার’ ট্যাবলেটের নতুন সংস্করণে গুগলের ম্যাপ-সেবা বাদ দিয়ে নকিয়ার ম্যাপ-সেবা যুক্ত করছে আমাজন।
গত ৩০ আগস্ট আমাজন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিন্ডল ফায়ারের প্রথম সংস্করণটি বাজারে ছাড়ার নয় মাসের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। নতুন সংস্করণে গুগলের ম্যাপ-সেবার পরিবর্তে যুক্ত হবে নকিয়ার ম্যাপ-সেবা। জিপিএস বা ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির সাহায্যে নকিয়ার ম্যাপ-সেবা কিন্ডল ফায়ারে ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। রাস্তার ম্যাপের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য উপযোগী ম্যাপ-সেবাও পাওয়া যাবে।
আমাজনের কিন্ডল ফায়ারের প্রথম সংস্করণটি ছিল ৭ ইঞ্চি মাপের। এর দাম ছিল ১৯৯ ডলার।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ট্যাবলেটের বাজারে ‘দাম’ জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় নির্ণায়ক। বর্তমানে ২০০ ডলারের নীচে অনেক ট্যাবলেট বাজারে চলে এসেছে। আমাজন যদি ট্যাবলেটের দাম ১৫০ ডলারের নীচে রাখতে পারে তবে অন্য ট্যাবলেট নির্মাতাদের জন্যও বাজার ধরতে দাম কমানোর প্রতিযোগিতায় নামতে হবে।

ফলপ্রসূ ইন্টারনেট ব্যবহারে শেষ দশে বাংলাদেশ

ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করাসহ ইন্টারনেটের ফলপ্রসূ ব্যবহার বিবেচনায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশনের করা টিম বার্নার্স লি ওয়েব ইনডেক্স ২০১২-তে বাংলাদেশের স্থান হয়েছে শেষ দশে। ৬১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৫তম স্থান পেয়েছে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
টিম বার্নার্স লি ওয়েব ইনডেক্স তৈরিতে ৬১টি দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার, প্রয়োজনীয়তা, সামাজিক ও আর্থিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক প্রভাব, ইন্টারনেট সংযোগের সূচক ও ইন্টারনেট অবকাঠামোর বিষয়গুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ প্রসঙ্গে স্যার টিম বার্নার্স লি জানিয়েছেন, এ জরিপের মাধ্যমে তৈরি করা তালিকা বিভিন্ন দেশের কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্য পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে।
৫ সেপ্টেম্বর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে স্যার বার্নার্স লি বলেছেন, ‘জরিপের প্রাথমিক অবস্থায় আমরা কতজনের কাছে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে সে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। মুঠোফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে কতজন ইন্টারনেট ব্যবহার করে, সে তথ্য সংগ্রহের পর আমরা জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ইন্টারনেটে করা কাজগুলোর তথ্য সংগ্রহ করি। ইন্টারনেট কেন ব্যবহার করে বা দেশে ইন্টারনেটের প্রভাব, এ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয় পরের পর্যায়ে।’
টিম বার্নার্স লি আরও জানিয়েছেন, এখনো অনেক দেশেই ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি বিলাসিতা হিসেবেই গণ্য করা হয়। বর্তমানে সারা বিশ্বের তিনজনের মধ্যে একজনের কাছে ইন্টারনেট-সুবিধা পৌঁছেছে। এশিয়ার অবস্থা আরও খারাপ। এখানে ছয়জনের মধ্যে মাত্র একজন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কিন্তু টিম বার্নার্স লির মতে, ইন্টারনেট সংযোগ পেতে খরচ বেশি হওয়ায় কোটি কোটি মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার এখনো অপূর্ণ রয়ে গেছে।
ইন্টারনেটের যথাযথভাবে ব্যবহারের দিক থেকে তালিকায় থাকা শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফিনল্যান্ড। এ তালিকায় শেষের পাঁচটি দেশ হচ্ছে ইয়েমেন, জিম্বাবুয়ে, বারকিনো ফাসো, বেনিন ও ইথিওপিয়া।
তালিকাটি পাওয়া যাবে www.thewebindex.org. লিংকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলারিটি কমিশনের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় রয়েছে দুই কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রচলিত আইএসপির ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৬০ লাখ।

Tuesday, September 4, 2012

সময় বাঁচান রান কমান্ড দিয়ে

উইন্ডোজের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, বিভিন্ন আপ্লিকেশনে শুধু রান কমান্ড দিয়ে খুব সহজেই যাওয়া যায়। এতে অনেক সময় বাঁচে। নিচে তেমনই কিছু রান কমান্ড দেওয়া হলো।
প্রথমে উইন্ডোজ কি+R চেপে সরাসরি রান-এ যেতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট কমান্ড দিয়ে সরাসরি যেকোনো প্রোগ্রামে যাওয়া যাবে।ক্যালকুলেটর খুলতে করতে calc লিখে এন্টার করুন।
  • যেকোনো ড্রাইভে যেতে c:, d:, e: এভাবে লিখে এন্টার করুন।
  • বিভিন্ন চিহ্ন খুঁজে পেতে charmap লিখে এন্টার করুন।
  • পাওয়ার অপশনে যেতে powercfg.cpl লিখে এন্টার করুন।
  • রেজিস্ট্রি এডিটরে যেতে regedit লিখে এন্টার করুন।
  • রিমোট ডেস্কটপে যেতে mstsc লিখে এন্টার করুন।কন্ট্রোল প্যানেলে ঢুকতে লিখে control এন্টার করুন।
  • ডিস্ক ক্লিনআপ চালু করতে cleanmgr লিখে এন্টার করুন।
  • মাউস প্রোপার্টিজে ঢুকতে main.cpl লিখে এন্টার করুন।
  • সাউন্ড অ্যান্ড অডিওতে ঢুকতে mmsys.cpl লিখে এন্টার করুন।
  • ডিভাইস ম্যানেজারে ঢুকতে devmgmt.msc লিখে এন্টার করুন।
  • ফন্টসে ঢুকতে fonts লিখে এন্টার করুন।
  • উইন্ডোজ সিকিউরিটি সেন্টারে যেতে wscui.cpl লিখে এন্টার করুন।
  • টাস্ক ম্যানেজার চালু করতে taskmgr লিখে এন্টার চাপুন।
  • সিস্টেম কনফিগারেশনে যেতে sysedit লিখে এন্টার করুন।
  • রিজিয়ন অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ এডিটরে যেতে intl.cpl লিখে এন্টার করুন।
  • স্টার্ট আপ মেন্যুতে যেতে msconfig লিখে এন্টার চাপুন।
  • হার্ডডিস্কের বিভিন্ন ড্রাইভ লুকানোসহ বিভিন্ন কাজে gpedit.msc লিখে এন্টার চাপুন।
  • ইন্টারনেট প্রোপার্টিজ দেখতে inetcpl.cpl লিখে এন্টার চাপুন।
  • অন স্ক্রিন কি-বোর্ড চালু করতে osk লিখে এন্টার চাপুন।

লাইকের নিরাপত্তা দেবে ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক এবার বিভিন্ন পেইজের ‘লাইক’-এর নিরাপত্তা দেবে। স্প্যামারসহ কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য কমাতে কঠোর হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সাইটটির নিয়মনীতি। এ ক্ষেত্রে যাতে ভুয়া লাইক না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। নতুন এই কার্যক্রমের ফলে শিগগিরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যালওয়্যার, প্রতারিত ব্যবহারকারী অথবা কেনা লাইকগুলো মুছে যাবে। এতে করে বর্তমানে চালু থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লাইকের সংখ্যা এক শতাংশ কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ফেসবুক জানায়, বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময়ে হাজার হাজার লাইক সংগ্রহ করে থাকে। এ বিষয়টি নীতিমালাবহির্ভূত, যা ঠেকাতে এবার কঠোর হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি অনেক সময়ই বিভিন্ন স্প্যাম প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতারণা করে অনেক ব্যবহারকারীকে ভিডিওতে ক্লিক করতে আকৃষ্ট করা হয়। এতে বিব্রত হন ব্যবহারকারীরা। নতুন এই উদ্যোগের ফলে এ ধরনের সমস্যাগুলোকেও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুকের পাশাপাশি একই সমস্যায় আক্রান্ত মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার এবং আরেক সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুগল প্লাস। তবে নিজেদের অবস্থান শক্ত ও ভালো রাখতে ফেসবুক এ উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে করে ব্যবহারকারীদের সমস্যায় পড়তে হয় কম।
এর আগে ফেসবুকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ ভুয়া ও নীতিমালা ভঙ্গের সঙ্গে জড়িত। আর এ অবস্থা যাতে বাড়তে না পারে, সে জন্য প্রতিবেদনে বিশেষ সতর্ক হওয়ার কথাও বলা হয়। এ ব্যবস্থার ফলে ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দে ফেসবুক ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
মহাকাশে গাড়ি চালাতে কেমন লাগবে, কল্পনা করতে পারেন! স্টিয়ারিং হুইলের জায়গায় জয় স্টিক, ড্যাশ বোর্ডের জায়গায় সমতল স্ক্রিনের ডিসপ্লে। এরপর দরজা বন্ধ করে, সিটবেল্ট বেঁধে সটান ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে দূরভ্রমণে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে বেরিয়ে পড়া। মহাকাশে গাড়ি! চমকে ওঠারই কথা। তবে এ নিছক কল্পকাহিনি নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার কর্মকর্তারা গাড়ির আদলে মহাকাশযান ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন। ছয় আসনের গাড়িসদৃশ এ নভোযানটির নাম হবে ‘ড্রিম চেজার’। মহাকাশ ভ্রমণের এ গাড়িটি নিয়ে বিবিসি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নভোযান মহাকাশে পাঠানোর পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত করে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নাসা। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি হচ্ছে, কলোরাডোভিত্তিক সিয়েরা নেভাদা করপোরেশন (এসএনসি)। ড্রিম চেজার নামের গাড়িসদৃশ এ মহাকাশযানটি নির্মাণ করছে এসএনসি। নাসা নির্বাচিত অন্য নভোযান হচ্ছে স্পেস এক্সের ‘ড্রাগন’ ও বোয়িংয়ের ‘সিএসটি-১০০’। স্পেস এক্স ও বোয়িংয়ের তৈরি নভোযান দুটি চাঁদে যাওয়া অ্যাপোলো মিশনের ক্যাপসুলসদৃশ।

স্বপ্নের পেছনে ছোটা

ছয় সদস্যের একটি পরিবারে ব্যবহূত গাড়ির মতোই ড্রিম চেজার নামের এ নভোযানটির সামনের অংশের দুটি আসনে চালক ও তাঁর সহকারীর বসার স্থান। তাঁদের পেছনে লটবহর রাখার কিছুটা জায়গা। এর পেছনে রয়েছে আরও কয়েকজনের মতো বসার জায়গা। গবেষকেরা অবশ্য মজা করে বলছেন, এ নভোযানটি আসলে গাড়ির মতো দেখতে বলা হলেও এর বাইরের দিকটা অনেকটা জুতার মতো। জুতার সঙ্গে দুটো পাখাযুক্ত একটি যান! অনেকটাই কল্পকাহিনির আকাশযানগুলোর মতো!
ড্রিম চেজার তৈরির ইতিহাস অবশ্য অনেক পুরোনো। এ ধরনের যান তৈরির ধারণা সত্তরের দশকের। ড্রিম চেজার তৈরির সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি পরীক্ষামূলক বিমানের গোপন মডেল অনুসরণ করা হয়েছে। সত্তরের দশকে সোভিয়েত বিমানের গোপনে তোলা একটি ছবির অনুকরণ করে তার ওপর আরও এক দশক গবেষণা চালিয়ে মহাকাশযানটির নকশা করেছেন এসএনসির গবেষক ও প্রকৌশলীরা। এরপর ওই নকশা অনুসারে একটি পরীক্ষামূলক নভোযান তৈরি করে নাসার কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। নাসার অনুমতি পেয়ে ড্রিম চেজারকে মহাকাশে পাঠানোর উপযোগী করতে নয় বছর ধরে কাজ করছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি এ নভোযানটির জন্য নাসার পক্ষ থেকে ২১ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থসাহায্য দেওয়া হচ্ছে এসএনসিকে।
এসএনসি স্পেস সিস্টেমের প্রধান মার্ক সিরাঞ্জেলো এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, স্বপ্নের মতো করেই শুরু হয়েছিল তাঁদের এ প্রকল্পটি। ভবিষ্যতের নভোযানটি তৈরির জন্য কাজ করতে শুরু করেছিলেন অল্প কয়েকজন মানুষ। তাঁদের ভাবনায় ছিল মহাকাশ মিশন শেষে স্পেস শাটলের যুগ যখন শেষ হবে, তখন আধুনিক নভোযানের প্রয়োজন পড়বে। এ কথা ভেবেই স্বপ্ন তাড়া করা শুরু হয়েছিল। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। গাড়িসদৃশ মহাকাশযান ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়ে গেছে। এমনকি পরীক্ষামূলকভাবে তা আকাশেও ওড়ানো হয়েছে। আগামী বছরের শেষনাগাদ নভোচারীসহ ড্রিম চেজার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পথে নিয়মিত যাত্রা শুরু করবে।
মার্ক সিরাঞ্জেলো আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনটি প্রতিষ্ঠান স্পেস স্টেশন থেকে নভোচারী আনা-নেওয়া ও রসদ পৌঁছানোর কাজ করতে নভোযান নির্মাণ করছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও কাজ করবে এ তিনটি প্রতিষ্ঠান।
কার্বন ফাইবার বা তন্তুর তৈরি ড্রিম চেজারকে বয়ে নিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অ্যাটলাস ৫ রকেট। এ নভোযানটির সবচেয়ে বড় সুবিধা কোনো ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই পৃথিবীতে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া ইতিপূর্বে মহাকাশ যাত্রায় স্পেস শাটলগুলো যে ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো, তার সব সুবিধাই এ যানটিতে থাকবে। রসদ পরিবহন ও ছয় সদস্য বহনক্ষমতার এ নভোযানটিকে তাই রাস্তায় চালানো গাড়ির মতোই বলা চলে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্পেস এক্স ও বোয়িংয়ের সঙ্গে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে, তবে ড্রিম চেজারের উন্নয়ন ও কারিগরি অন্যান্য কাজ শেষ করার পর আসল পার্থক্য ধরা পড়বে। তাঁর মতে, পরিবারের সদস্যরা মিলে গাড়িতে চেপে বাইরে বেড়াতে যাওয়ার মতোই ড্রিম চেজারে করে স্বপ্নের মহাকাশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়তে চাইবেন অনেকেই।

কি-বোর্ড ধোয়াও যাবে?

যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁরা জানেন যে কি-বোর্ড ব্যবহারে প্রচুর ধুলা-ময়লা জমে। ব্রাশ দিয়ে এর উপরিভাগের ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা গেলেও কখনোই তা ধুয়ে পরিষ্কার করা যায় না। কারণ, কি-বোর্ডে পানি ঢুকলে তা বাতিল হয়ে যাবে।
সম্প্রতি কি-বোর্ড পরিষ্কার রাখার ঝামেলা এড়াতে লজিটেক নিয়ে এসেছে পানি দিয়ে ধোয়া যাবে এমন কি-বোর্ড। ‘ওয়াশেবল কিবোর্ড কে৩১০’ নামের এই কি-বোর্ডটি সহজেই পানিতে ধোয়া যাবে। রান্নাঘরের সিঙ্কে বারবার ধুলে এবং ১১ ইঞ্চি পানির নিচে ডুবিয়ে রাখলেও এর কোনো ক্ষতি হবে না। ধোয়ার পর শুধু একটু শুকিয়ে নিলেই হলো। কি-বোর্ডটি কাজ করবে নতুনের মতোই। ধোয়ার পর কি-বোর্ডটির পানি ঝরাতে বা শুকাতে এর পেছনে রয়েছে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। কি-বোর্ডের অক্ষরগুলো যাতে ভিজে নষ্ট হয়ে না যায়, সে জন্য লেজার প্রিন্ট এবং ইউভি কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে।
লজিটেক মাউস এবং কি-বোর্ডের ঊর্ধ্বতন পরিচালক সোফি লে গুয়েন বলেন, ‘সাবধান থাকা সত্ত্বেও আমাদের সবারই অভিজ্ঞতা আছে যে কোনো একসময় কফির কাপটি উল্টে পড়ে গিয়ে কি-বোর্ডটি ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আর এসব সমস্যা দূর করতেই লজিটেক এবার কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে এসেছে এই কি-বোর্ড কে৩১০। এটি বারবার ধুলেও এতটুকু নষ্ট কিংবা ব্যবহারের অনুপযোগী হবে না। উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিসতা এবং উইন্ডোজ সেভেন—সবকিছুর সঙ্গেই এটি মানানসই। আশা করা যাচ্ছে, আগামী অক্টোবর মাসেই কি-বোর্ডটি ইউরোপের বাজারে পাওয়া যাবে। আর এর খুচরা মূল্য হবে ৩৯ দশমিক ৯৯ ডলার। —সিনেট অবলম্বনে প্রদীপ সাহা

প্রণয়ে জড়িয়েছেন গুগল চেয়ারম্যান!



অনলাইন সার্চ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুগলের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এরিক স্মিড বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। ৩ সেপ্টেম্বর হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে এরিক স্মিড যাঁর সঙ্গে প্রেম করছেন, তিনি ভিয়েতনামের ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতে পারদর্শী চো-সান নিউইয়ান। তিনি পেশায় কনসার্টের পিয়ানোবাদক।
নিউইয়র্ক পোস্টের অনলাইন সংস্করণ পেজ সিক্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চো-সান নিউইয়ানের সঙ্গে অস্কারজয়ী টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্রায়ান গ্রেজারের সম্পর্ক ছিল। এই জুটি আংটিবদলও করেছিল। তবে সূত্রের বরাতে পেজ সিক্সে বলা হয়েছে, কয়েক মাস থেকে এরিক স্মিডের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে দেখা যাচ্ছে চো-সান নিউইয়ানকে। এরিক স্মিড ও নিউইয়ানকে একত্রে তাঁর (নিউইয়ান) ‘সোহো’ নামের বাড়ির বাইরে ও ‘ক্যাপ্রিয়ানি’তে ডিনার করতেও দেখা গেছে। এ ছাড়া গুগলের চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যস্ত সময় কাটানো এরিক স্মিডকে চো-সান নিউইয়ানের জন্য কনসার্টের আয়োজনে সাহায্য করতেও দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নিউইয়র্কের বাসিন্দা লিজা শিল্ডের সঙ্গে এরিক স্মিডের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের খবর ছেপেছিল নিউইয়র্ক পোস্ট।
এরিক স্মিডের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের গুজব ডালপালা মেললেও তাঁর স্ত্রী ওয়েন্ডি স্মিডের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়নি। ওয়েন্ডি স্মিড ও এরিক স্মিড আলাদা থাকেন। কোটিপতি প্রযুক্তিবিদ স্বামীর কাছ থেকে আলাদা অবস্থায় ভালো আছেন বলেই জানিয়েছেন ওয়েন্ডি।
তবে ভিয়েতনামের সংগীতশিল্পীর সঙ্গে নতুন প্রেম প্রসঙ্গে এরিক স্মিড, চো-সান নিউইয়ান কিংবা ওয়েন্ডি কেউই মুখ খোলেননি।

৮ ডলারে ‘নকল’ আইফোন ৫! (ভিডিও)

অ্যাপলের তৈরি নতুন সংস্করণের আইফোনটি এখনো বাজারে আসেনি প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ১২ সেপ্টেম্বর আইফোন ৫ স্মার্টফোনটির ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপলস্মার্টফোনটির সম্ভাব্য নকশা ও ফিচার নিয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে নানা তথ্যএসব ফিচারসংবলিত আইফোন ৫’-এর সাদৃশ্যের স্মার্টফোনে এখন চীনের বাজার সয়লাব এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার
বার্লিনে অনুষ্ঠিত আইএফএ ট্রেড শোতেও দেখা মিলেছে সম্ভাব্য আইফোন ৫সাদৃশ্যের এ মুঠোফোনেরতবে স্মার্টফোনটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত কোনো তথ্য অবশ্য এখানে প্রকাশ করা হয়নিপ্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা একে নকলআইফোন বলেই অভিহিত করেছেন
চীনের বাজারে এ ধরনের নকল আইফোন বিক্রি হচ্ছে মাত্র আট ডলারে
জিএসএম ইসরায়েল নামের একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকে নকল আইফোন ৫-এর ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যাতে নকল আইফোন ৫-এর তথ্য বর্ণনা করা হয়েছে


নকিয়া-সিমেন্সের বিএসএস ইউনিট কিনবে এরিকসন


নকিয়া-সিমেন্সের বিএসএস ইউনিট কিনবে এরিকসন

www.winlifeitgital.blogspot.com

নকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্কসের বিজনেস সাপোর্ট সিস্টেম (বিএসএস) বিভাগটি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম সুইডেনের প্রতিষ্ঠান এরিকসন৩ সেপ্টেম্বর এক খবরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে

নকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্কসের (এনএসএন) বিজনেস সাপোর্ট সিস্টেম বিভাগটি টেলিকম অপারেটরদের কাছে বিল ও চার্জ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে
নকিয়া-সিমেন্সের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এরিকসনের পাশাপাশি এনএসএনের বিএসএস বিভাগটি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি নির্মাতা অ্যামডকসবিভাগটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কিছুদিন ধরেই ক্রেতা খুঁজছিল ওই প্রতিষ্ঠান
টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিব্যবসায় অনেক আগেই হাত মিলিয়েছে নকিয়া ও সিমেন্সনকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্কস নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক সাফল্যও অর্জন করেছে
নকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্কস বিশ্বের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের দুই প্রধান প্রতিষ্ঠান নকিয়া ও সিমেন্সের ৫০:৫০ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত আলাদা একটি প্রতিষ্ঠানখরচ কমাতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে এ বছর ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছেএদিকে সুইডেনের এরিকসন বিএসএস সেবা আরও বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে

Saturday, July 21, 2012

নতুন বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক

বাজারে এসেছে টুইনমস ব্র্যান্ডের প্রোবক্স মডেলের বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভ। ইউএসবি ৩.০ প্রযুক্তির এই হার্ডডিস্ক ড্রাইভের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৫ গিগাবাইট পর্যন্ত ডেটা ট্রান্সফার করা যায়।
মাত্র ২.৫ ইঞ্চি এবং এর ওজন মাত্র ১৫০ গ্রাম। এটি উইন্ডোজ ২০০০, এক্সপি, ভিস্তা, সেভেন, ম্যাকিন্টোশ
এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যায়।
স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের বাজারে আনা ৫০০ গিগাবাইটের হার্ডডিস্কের মূল্য সাত হাজার ২০০ টাকা।
রয়েছে দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা

অপরাধী শনাক্ত করবে হেলমেট

এবার হেলমেটের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ওয়েবসাইট-লেস কোম্পানি ‘ভেরিটাস সায়েন্টিফিক’ সম্প্রতি এমন এক হেলমেট তৈরি করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাইন্ড রিডিং হেলমেট’।
হেলমেটটি দেখতে ঠিক মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেটের মতোই। হেলমেটটির ভেতরে থাকবে মেটাল ব্রাশ সেন্সর। এই সেন্সরের মাধ্যমে হেলমেট পরে থাকা ব্যক্তির সামনে বিভিন্ন ছবি দেখানো হবে। হেলমেটের সেন্সরগুলো ইলেকট্রো এনসেফালোগ্রামের (ইইজি) মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। মজার ব্যাপার হলো, এই তথ্য সংগ্রহের পরই তা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ব্যক্তিটি সত্যিই অপরাধী কি না!
ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক এলবট বলেন, ভবিষ্যতে এই মাইন্ড রিডিং হেলমেট কোনো গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রবেশ করবে কি না, তা জানাতে সক্ষম হবে এবং গ্রামবাসী খুব সহজেই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে। তবে এটাও ঠিক যে এই প্রযুক্তির ফলে অপরাধীরা আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন এলবট। তাঁর মতে, ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে অপরাধ করার আগেই অপরাধীকে শনাক্ত করাই হচ্ছে এই হেলমেট তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য। এলবট আরও বলেন, শুধু সরকারের কাছে এই যন্ত্রটি থাকলে তা হবে সত্যিই বিপজ্জনক।

Tuesday, July 17, 2012

সারা বিশ্বে বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে যাবে ইন্টারনেট!

winlifeitdigital.blogspot.com
মুহম্মদ আলতাফ হোসেন: বিশ্ব এখন ইন্টারনেটের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল এ কথা বললে খুব বেশি বলা হবে না এবং যত দিন যাবে নির্ভরশীলতা তত বাড়বে; আর এ কারণেই  বিশ্বে এখন সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ইন্টারনেট ভক্ত এবং সব কাজেই ইন্টারনেটের প্রয়োজন।
সিসকো পরিচালিত গবেষণা ইনডেক্স অনুযায়ী আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে ইন্টারনেট  ট্রাফিক ১.৩ জেটাবাইটস ব্যান্ডউইথড ছাড়িয়ে যাবে। এ কারণ ভবিষ্যতে বহনযোগ্য পণ্য, স্মার্টফোন এবং ডিজিটাল পণ্যগুলোতে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত হবে। তখন ইন্টারনেট বিস্ফোরণের মতো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। ২০১৬ সাল নাগাদ আলাদাভাবে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ১ হাজার ৮৯০ কোটি সংযোগ ছাড়িয়ে যাবে। তখন প্রতিজনের জন্য গড়ে ২.৫টি ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। ২০১১ সালের হিসাবে এ সংখ্যা ১ হাজার ৩০ কোটি।
ইন্টারনেট কী : ইন্টারনেট (Internet, বাংলায় আন্তর্জাল) হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্যাটা আদান-প্রদান করা হয়। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সমার্থক শব্দ মনে হলেও তার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ইন্টারনেটের হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার পরিকাঠামো কম্পিউটারগুলোর মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। বিপরীতে ওয়েব ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত পরিসেবাগুলির একটি। এটা পরস্পর সংযুক্ত কাগজপত্র ও অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহের, হাইপারলিংক এবং ইউআরএল দিয়ে সংযুক্ত।
যাত্রা শুরু : ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট্স এজেন্সি বা আরপা পরীামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক আরপানেট নামে পরিচিত ছিল। এতে প্রাথমিকভাবে যুক্ত ছিল স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট লস অ্যাঞ্জেলেস, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট সান্তা বারবারা ও ইউনিভার্সিটি অফ ইউটাহ্।
রাজনৈতিক শক্তি : ইন্টারনেট এখন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিউনিসিয়া, মিসর  প্রভৃতি দেশে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রযুক্তির কারণেই বিপ্লব ঘটতে পেরেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও এখন নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে প্রফাইল ছবির বদলে কালো ‘জে’ ব্যবহার করে  প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন আর স্বৈরাচারেরা যেকোনো কাজ করে সহজে পার পেতে পারে না। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের নির্বিচারে বাংলাদেশী হত্যার বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ জানাতে হ্যাকারদের ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হ্যাক করাটাও ছিল একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ।
ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় : রাজধানীসহ সারা দেশে এখন ইন্টারনেটে টাকা আয়ের ধুম দেখা যাচ্ছে। ইন্টারনেটের সঙ্গে কিছুটা পরিচিত এমন ছাত্র-শিক্ষক, চাকরিজীবী, বেকার, গৃহিণী সবাই যেন এতে মেতে উঠেছেন, তাদের কাছে ক্লিক করলেই ডলার। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারসহ এমন প্রচারণা চলছে, যেন ডলার হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের মাউসে ক্লিক করলেই আপনার হাতে চলে আসবে রাশি রাশি। সত্যিই কি তাই? সত্যি। তবে সাধারণ মানুষ ক্লিক করে টাকা আয়ের যে শর্ট-কাট  পথের আশ্রয় নিচ্ছে, সেই পথ না মাড়ানোই ভালো, বিশেষ করে আপনার কষ্টের টাকা বিনিয়োগ করে। প্রাথমিক কিছু বিনিয়োগ করে বস্তা বস্তা ডলারের যে স্বপ্ন দেখা যায়, তার অনেকটাই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং ব্যবসা। আপনার ও আপনার পরিচিতদের টাকা আত্মসাতের ডিজিটাল কৌশল। এ ক্ষেত্রে একটি পরামর্শ দেয়া যায়Ñ সেসব প্রতিষ্ঠান আগাম কিছু বিনিয়োগ করতে বলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।
তবে হ্যাঁ, ইন্টারনেট থেকে টাকা কামানো যায় আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে। সেজন্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রগ্রাম শিখতে হবে। লেখালেখিসহ (সাধারণত বাংলায় নয়) নানা কাজ আছে। আপনি যেটা ভালো জানেন, তা দিয়ে আবেদন করতে পারেন।
হুমকিও বটে : ইন্টারনেটের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হলো এর ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা বখে যাচ্ছে। তারা শিক্ষামূলক কিছু না দেখে অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।
শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এমনটা হচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন বার্তা সংস্থা লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অধ্যাপক সোনিয়া লিভিংস্টোনের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বেরিয়ে এসেছে মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা সাধারণত তাদের সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশি বেশি উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। একপর্যায়ে ছেলেমেয়েরা অশ্লীল দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পর্নোর  প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে সামাজিক আচরণ বিলোপসহ নানা রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে তারা। জরিপে অংশ নেওয়া ১০০০ ছাত্রছাত্রীর ৫১ শতাংশ বাড়ির কাজ না করে, পরিবার পরিজন দূরে রেখে ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় কাটায়। বিশেষ করে ১৪ থেকে ১৬ বয়সের তরুণীদের এ প্রবণতা অনেক বেশি। বিশেষ করে যাদের শোয়ার ঘরে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে তারা হুমকির মুখে রয়েছে।
এতে আরো জানা যায়, ৩০ শতাংশ ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিপরীতে ২৫ শতাংশ মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান অশ্লীল ভিডিওতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পর্নো বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়েরা অন্যদের তুলনায় এগিয়ে। এ সংখ্যা ১৭:১৪। ৪০ শতাংশ বাবা-মা তাদের সন্তানরা ইন্টারনেটে কী করছে সে ব্যাপারে সচেতন। বিপরীতে ২৯ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের মা-বাবা এ ব্যাপারে অসচেতন। এটিকে গবেষক ভীতির সংস্কৃতি বলে আখ্যা দিয়েছেন। যে সংস্কৃতিতে পিতামাতা তার সন্তানকে বাইরে বের হতে না দিয়ে প্রযুক্তির প্রতি বেশি মুখাপেক্ষী করতে উদ্বুদ্ধ করছেন। তবে এখনও সমস্যাগুলো সর্বত্র দেখা না যাওয়ায় এ নিয়ে অভিভাবকদের খুব বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক।

আসছে ছোট ও কম দামের আইপ্যাড

বাজার মাতানো অ্যাপলের আইপ্যাড এবার ছোট ও কম দামে পাওয়া যাবে। ট্যাবলেট বাজারের শীর্ষস্থান দখলে নিতে অ্যাপল নিজেদের তৈরি আইপ্যাডের ছোট সংস্করণ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। ছোট আকারের পাশাপাশি নতুন এই আইপ্যাডের দামও কম হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বাজারে থাকা গুগলের নেক্সাস-৭, আমাজনের কিন্ডল ফায়ার, মাইক্রোসফটের সম্ভাব্য নিজেদের ট্যাবলেটের সঙ্গে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করতে নানা ধরনের নতুন সুবিধা যুক্ত হচ্ছে নতুন মিনি আইপ্যাডে। মাত্র ৭.৫৮ ইঞ্চির নতুন মিনি আইপ্যাডের দাম হতে পারে ৪৯৯ ডলার। টেক্সটবুক ব্যবসার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষভাবে নতুন আইপ্যাড মিনি ট্যাবলেট তৈরি হচ্ছে, যা অ্যাপলকে আবার বাজারের সেরা করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
অ্যাপলের সাবেক ব্যবস্থাপক ল্যাসিলি গ্র্যান্ডি বলেন, ‘যাঁরা মূলত আইপ্যাডকে বড় মনে করে ব্যবহার করতে আগ্রহী নন, তাঁদের জন্যই বিশেষ এই মিনি আইপ্যাড।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে শীর্ষে থাকতে চাইলে সাইজ যাই হোক না কেন, আইপ্যাড মিনিতে নতুন নানা সুবিধা, বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, যা ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে। ইতিমধ্যে নতুন আইপ্যাড মিনি নিয়ে অ্যাপলপ্রেমীদের মধ্যে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। কবে আসবে বাজারে, সেই অপেক্ষায় আছেন আগ্রহী ক্রেতারা। —টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে কাজী আশফাক আলম

ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মেয়ার

সবাইকে বিস্মিত করে আজ মঙ্গলবার গুগল কর্মকর্তা মারিসা মেয়ারকে ইয়াহু করপোরেশন তাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে এ বছর দুইবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পরিবর্তন হয়েছে ইয়াহুতে। মারিসা মেয়ার তৃতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আসছেন। বর্তমানে ইয়াহুতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ইয়াহুর গ্লোবাল মিডিয়া প্রধান রস লেভিনসন। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব বুঝে নেবেন মারিসা মেয়ার।
মারিসা মেয়ার ১৯৯৯ সালে গুগলের ২০তম কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। গুগলে তিনিই প্রথম নারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। মারিসা গুগলের জ্যেষ্ঠ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। গুগলে তাঁর পেশাজীবন শুরুর সময় গুগল সার্চ প্রোডাক্টস ও ইউজার এক্সপেরিয়েনস-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পরে সে পদ ছেড়ে লোকেশন-বেজড সার্ভিসের প্রধান হিসেবে যোগ দেন।
গুগল সার্চের জিও/লোকাল সার্ভিস দেখাশোনা করা ও ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছিলেন মারিসা।
মারিসা মেয়ার ২০০৮ সালে প্রযুক্তিবিশ্বে বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন। এই সময় ফরচুন সাময়িকীর বিচারে সেরা ৫০ জন প্রভাবশালী নারীর তালিকায়ও তাঁর নাম উঠেছিল। এবার ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দিয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে আবারও সাড়া ফেললেন তিনি।
ইয়াহুর পরিচালনা পর্ষদ মেয়ারকে হঠাত্ই নিয়োগ দিয়ে ফেলেছেএ—মন ধারণা প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের। এ পদের জন্য নিয়োগ-বিষয়ক কোনো আলোচনাতেই তিনি ছিলেন না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি ফেসবুকের সঙ্গে মামলা সমঝোতা করা লেভিনসনকেই উপযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মনে করা হচ্ছিল। এ পদে ভিডিওবিষয়ক ওয়েবসাইট হুলু এলএলসির প্রধান জ্যাসন কিলারের নামও এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়ারকেই ইয়াহুর ‘হট’ সিটের জন্য নির্বাচিত করেছে পরিচালনা পর্ষদ। ইয়াহুর এ পদটিকে ‘হট’ বলার কারণ, এই পদে গত পাঁচ বছরে পাঁচজন কর্মকর্তার বদল হয়েছে।
ফেসবুক ও গুগলের সঙ্গে ক্রমেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে পড়া ইয়াহুকে চাঙা করতে ও লাভে ফেরাতে কাজ করতে হবে মেয়ারকে।
নতুন পদ প্রসঙ্গে মারিসা মেয়ার এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, ১৭ জুলাই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি খুবই উত্ফুল্ল।
ইয়াহুর প্রধান নির্বাহীর পদটিকে এখন সবচেয়ে ‘চ্যালেঞ্জিং’ পদ বলেই মনে করা হচ্ছে। ইয়াহুর এ পদটিতে স্কট থম্পসন মাত্র পাঁচ মাস টিকেছিলেন। কর্মী ছাঁটাই, বিভিন্ন সেবা বন্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভে ফেরালেও জীবনবৃত্তান্তে ঘষামাজার অভিযোগে পদ ছাড়তে হয় তাঁকে। ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া ইয়াহুকে লাভের মুখে দেখাতে নতুন কর্মকর্তা মেয়ারকে অনেক কাজ করতে হবে। ইয়াহুর ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ তাই অন্তর্বর্তীকালীন সিইওর পরিবর্তে প্রযুক্তির জ্ঞান রয়েছে—এমন কর্মকর্তা হিসেবেই তাঁকে নির্বাচিত করেছেন। মারিসা মেয়ারের অতীত অভিজ্ঞতা ও কাজের ধরনে তাঁদের আস্থা রাখতে পারবেন বলেই ইয়াহুর কর্মকর্তারা মনে করছেন।

শীর্ষে উঠে আসছে লেনেভো

চীনের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভো চলতি বছরের শেষ নাগাদ কম্পিউটার বিক্রির হিসাবে হিউলেট প্যাকার্ডকে (এইচপি) হটিয়ে বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। লেনোভোর এই রেকর্ড ছুঁতে পারাটা চীনা কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে আসার ঘটনা হবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনার ও আইডিসির প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, লেনোভো ও হুয়াউয়ে চলতি বছরেই কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করবে। তাঁরা হিসাব করে দেখেছেন, দেশ ও দেশের বাইরে কম্পিউটার বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পন্থা গ্রহণ করা ও দামের বিষয়টিই লেনোভোকে চলতি বছরের বিক্রির তালিকায় উপরের দিকে তুলে এনেছে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত হংকংয়ের অ্যাভান্ট ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রেডরিক ওয়াং জানিয়েছেন, লেনোভোর এক নম্বরে যাওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। তবে এই বছরের শেষ নাগাদ লেনোভো শীর্ষে পৌঁছে গেলেও এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। তবে ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে লেনোভোর এখনো কিছু দুর্বলতা রয়েছে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এই তিন মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম্পিউটার বিক্রি করেছিল লেনোভো। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসে বাজারে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ দখল করেছিল প্রতিষ্ঠানটি, যা এইচপির চেয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কম। এ বছরের শেষ নাগাদ এইচপিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে টেলিকম পণ্যের বাজারে চীনের হুয়াউয়ে টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটিও সুইডেনের এরিকসনকে পেছনে ফেলে শিগগিরই বাজারের শীর্ষস্থানে চলে আসবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে হুয়াউয়ে কর্তৃপক্ষ।

ট্যাবলেটে নতুন মাইক্রোসফট অফিস

টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির ট্যাবলেট কম্পিউটারের জন্য ১৬ জুলাই মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারের নতুন একটি সংস্করণের ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমার। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ক্লাউড-নির্ভর এই মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত করবে মাইক্রোসফট। এ সফটওয়্যার প্যাকেজটির সঙ্গে মাইক্রোসফটের ভিওআইপি সেবা ‘স্কাইপি’ যুক্ত করার এক পরিকল্পনাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অফিসের সর্বশেষ পরিবর্তন এনেছিল মাইক্রোসফট। এ সময় মাইক্রোসফট অফিসকে অনলাইন সংস্করণ হিসেবে চালু করা হয়েছিল।
অবশ্য উইন্ডোজনির্ভর ট্যাবলেট ছাড়া আইপ্যাড বা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর ট্যাবলেটে মাইক্রোসফটের অফিস প্রোগ্রাম চালু করা হবে কি না, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি বলমার।
বলমার জানিয়েছেন, এমএস অফিসের অন্যান্য সংস্করণে তথ্য কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষিত হতো। নতুন সংস্করণে মাইক্রোসফট অনলাইন সেবা ‘স্কাইড্রাইভ’ ডিফল্ট হিসেবে থাকবে। মাইক্রোসফট অফিসের তথ্য সরাসরি ফেসবুকে শেয়ার বা কোনো ব্লগেও প্রকাশ করা যাবে।
বলমার আরও জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট অফিসের নতুন এ সংস্করণটি ট্যাবলেট কম্পিউটারের জন্য একটি ক্লাউড সেবা হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। অফিস ১৫ মাইক্রোসফটের একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হিসেবে পরিচিত। ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্টের মতো মূল প্রোগ্রামের পাশাপাশি ওয়েব টুল ‘অফিস ৩৬৫’, ই-মেইল ম্যানেজমেন্ট টুল ‘এক্সচেঞ্জ’, এন্টারপ্রাইজ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘শেয়ারপয়েন্ট’, এন্টারপ্রাইজ মেসেজ টুল ‘লিঞ্চ’, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ‘প্রোজেক্ট’ ও ডায়াগ্রাম এডিটর ‘ভিজিও’ সুবিধা অফিস ১৫-তে যোগ হবে।
২০১৩ সালের শুরুর দিকে বাজারে আসতে পারে ‘মাইক্রোসফট অফিস ১৫’ হিসেবে পরিচিত নতুন সংস্করণটি। ব্যবহারকারীরা বর্তমানে অনলাইনে এর প্রিভিউ সংস্করণটি দেখে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
 

Wednesday, June 27, 2012

 Answer:

The motherboard is the main circuit board in a computer. A motherboard provides a way for hardware in a computer to communicate with each other.
 

Inside a PC: The Motherboard:

The motherboard is mounted to the computer case and all other internal devices are connected to it in some way.

(বাংলায় উত্তর: 

মাদারবোর্ডের প্রধান একটি কম্পিউটার সার্কিট বোর্ড. একটি মাদারবোর্ডের একটি কম্পিউটার হার্ডওয়েরের জন্য একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি উপায় উপলব্ধ করা হয়.

ভিতরে একটি পিসি: মাদারবোর্ড:

মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে কম্পিউটার এবং মাউন্ট করা সমস্ত অন্যান্য অভ্যন্তরীণ ডিভাইসের এটা থেকে কিছু পদ্ধতিতে সংযুক্ত করা হয়.)

What is Hardware?

Answer:

Hardware refers to the physical parts of a computer system. Some basic computer hardware includes the motherboard, CPU, RAM, hard drive, etc.

হার্ডওয়্যার ককে বলে?

বাংলায় উত্তর:  একটি কম্পিউটার সিস্টেমের প্রকৃত অংশের হার্ডওয়্যার বোঝায়. কিছু মৌলিক কম্পিউটার হার্ডওয়্যার মাদারবোর্ড, সিপিইউ, র‌্যামও, হার্ড ড্রাইভ, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

Here are some common individual computer hardware components that you'll often find inside a modern computer. (এখানে কিছু সাধারণ ব্যক্তি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার উপাদান যে আপনি প্রায়ই একটি আধুনিক কম্পিউটার ভিতরে পাবেন)

Motherboad:



 

What is Computer?

A computer is a device that accepts information (in the form of digitalized data) and manipulates it for some result based on a program or sequence of instructions on how the data is to be processed.

What is Computer Virus?


A computer virus is an executable program. Depend on the nature of a virus, it may cause damage of your hard disk contents, and/or interfere normal operation of your computer.